প্রাণিদেহের তল, খন্ডকায়ন ও অঞ্চলায়ন

You are currently viewing প্রাণিদেহের তল, খন্ডকায়ন ও অঞ্চলায়ন

আমরা যেমন পৃথিবীর বিভিন্ন দিক নির্দেশ করতে পূর্ব-পশ্চিম, উত্তর-দক্ষিণ শব্দ গুলো ব্যবহার করি ঠিক তেমনি একটি প্রাণীর বিভিন্ন অঙ্গাণুর অবস্থান চিহ্নিত করার জন্য কিছু এনাটমিক্যাল শব্দ ব্যবহার করা হয়। প্রাণিদেহের তল, খন্ডকায়ন ও অঞ্চলায়ন সম্পর্কে ধারণা থাকলে একটি প্রাণীর পরিচিতি দেওয়া সহজ হয়অ যেমন- একটি বিড়ালকে তিনটি তলে(plane) ভাগ করলে নিম্নলিখিত অংশগুলো পাওয়া যায়। যেমন-

প্রাণিদেহের বিভিন্ন তল(Plane)

১। Sagittal (মধ্যভাগ)- এটি মূলত দেহকে ডান(right) এবং বাম(left) অংশে বিভক্ত করে। 

২। Transverse (অনুপ্রস্থ)- এটি দেহকে অগ্র(anterior) ও পশ্চাৎ(posterior) অংশে বিভক্ত করে।

৩। Frontal(সম্মুখ)- এটি দেহকে পৃষ্ঠীয়(dorsal) এবং অঙ্কীয়(ventral) অংশে বিভক্ত করে।  

এছাড়াও দেহের একপাশ বা পাশের দিককে পার্শ্বীয়(lateral) দিক বলা হয়। 

খন্ডকায়ন(Segmentation)

অনুলম্ব(Vertical) অক্ষ বরাবর কোন প্রাণীর দেহ যদি একই রকম কতকগগুলো খন্ডক দ্বারা গঠিত হয় তবে তাকে খন্ডকায়ন বা Metamerism বলে।  প্রত্যেক খন্ডকে metamire বা somite বলে। Metamerism বাহ্যিক বা অভ্যন্তরীণ হতে পারে বা একই প্রাণীতে(যেমন-কেঁচো বা জোঁক) উভয় ধরনের খন্ডকায়ন থাকতে পারে।  কেঁচো/জোঁকের ক্ষেত্রে দেহখন্ডকগুলো Annulus বা আংটির মতো দেখতে এটাকে বলে প্রকৃত খন্ডকায়ন বা True Metamerism অপরপক্ষে মানুষের ক্ষেত্রে ৩৩ টি কশেরুকা নিয়ে যে মেরুদণ্ড গঠিত তাকে Pseudo-metamerism বা অপ্রকৃত খন্ডকায়ন বলা হয়। 

Annelida পর্বের প্রাণীদের প্রকৃত খন্ডকায়ন দেখা যায়। যেমন- Hirudo medicinalis

অঞ্চলায়ন(Tagmatization)

মূলত ট্যাগমা সৃষ্টির প্রক্রিয়াটাকে Tagmatization বা অঞ্চলায়ন বলা হয়।  প্রশ্ন হলো এই অঞ্চল বা Tagma একবচনে; Tagmata বহুবচনে – কোথায় সৃষ্টি হয়? আমরা লক্ষ্য করলে দেখব Arthropoda  পর্বের প্রাণী চিংড়িতে(Crustacea শ্রেণিভুক্ত) মস্তক ও বক্ষ অঞ্চল মিলে গঠন করে শিরোবক্ষ বা cephalothorax এবং উদরের খন্ডকগুলো মিলে উদর বা abdomen নামে ট্যাগমাটা গঠণ করে।  

অন্যদিকে আরশোলাতে(Insecta শ্রেনিভুক্ত) দেহখন্ডকগুলো মিলিত হয়ে মস্কক, বক্ষ ও উদর নামে তিনটি ট্যাগমাটা গঠন করে। 

তাই এরা বাহ্যিকভাবে খন্ডকায়িত হলেও দেহের বিভিন্ন জায়গায় কিছু খন্ডক একত্রিত হয়ে কয়েকটি নির্দিষ্ট অঞ্চল বা tagma গঠন করে আর এই ট্যাগমা গঠণের পদ্ধতিকেই বলা হয় ট্যাগমাটাইজেশন(Tagmatization) বা অঞ্চলায়ন।

This Post Has One Comment

  1. Md Mahadi Hasan

    Thank you sir

Leave a Reply