প্রকৃতির ঝাঁকুনি

You are currently viewing প্রকৃতির ঝাঁকুনি

সময় এখন প্রকৃতির তার প্রাকৃতিক ঝাঁকুনির জন্য। আমরা আমাদের কাজ করেছি এখন প্রকৃতি তার কাজ করছে। এই ঝাঁকুনিতে কেউ কোয়ারান্টাইনে, কেউ আইসোলেশনে আর কেউ বা রিসাইকেল বিনে। আমি বা আপনি যে কেউ এই ভারসাম্য রক্ষার শিকার হতে পারি যতই অস্বীকার করি না কেন। আমাদেরই মূঢ়তা, নির্বিকার উদাসীনতা, অজ্ঞতা, হিংসা-দ্বেষ, প্রাকৃতিক ভারসাম্য বিনাশকারী কর্মকান্ড এসব মহামারী ডেকে আনে। আবার আমাদের হাতেই রয়েছে মহামারীকে প্রতিরোধকারী ক্ষমতা ব্যাপক শিক্ষা বিস্তার তথা যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি প্রণয়ন করে। কিন্তু পরিতাপের বিষয় শিক্ষা আর স্বাস্থ্যখাতের মতো সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ অংশ অবহেলিত, উপেক্ষিত, মর্যাদা ও নিরাপত্তাবিহীন। চূড়ান্ত পরিস্থিতিতে যে কিছু মাথাওয়ালা বটগাছ দরকার পড়ে তা আজ আমরা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি। ঘিলুশূন্য ব্যবস্থা নিয়ে ‘ওলা বিবি’ আর ‘শীতলা দেবীর’ পায়ে মাথা না ঠুকলেও হালের ‘গোমূত্র পান’ আর ‘থানকুনি পাতা’ খেয়ে জঙ্গল সাফ করা লোকের সংখ্যা নেহাত কম নয়।
আমরা ঘরে বসে বড়জোর কিছু ফেসবুক পোস্ট প্রসব করতে পারব। কিন্তু আজকে যারা সত্যি যুদ্ধে যেতে চায় তাদের খুব বেশি দরকার। নিজেদেরকে দ্বিতীয় প্রজন্মের মুক্তিযোদ্ধা দাবী করতে হলে এই একুশ শতকের অদৃশ্য শত্রুর বিরুদ্ধে দৃশ্যমান সৈনিকদের খুব বেশি দরকার। কারন এরা পাকিস্তানি বর্বর হানাদার বাহিনী আর তাদের দোসরদের মতো দৃশ্যমান নয়। এরা আমাদের কারনে সৃষ্ট এক মানবিক বিপর্যয়। গুজব আর গজবের কাঁধে খাঁড়া হয়ে হাত তুলে সারেন্ডার করলে সৈনিকের আত্মমর্যাদা থাকলো কোথায়? যেসকল স্বাস্থ্যযোদ্ধা ইতোমধ্যে এ লড়াই শুরু করেছেন আপনাদের প্রতি এ জাতি কৃতজ্ঞ।

এই শত্রুর(করোনা ভাইরাস) পপুলেশন গ্রোথ ইংরেজী “J” শেপের মতো। অর্থাৎ একটা সময় তাকে স্তিমিত হতেই হবে, নিচে নামতেই হবে যতই উপরে উঠুক। কিন্তু তার আগে এটি আমাদেরকে ঝাঁকুনি দিয়ে ব্যালান্স করবে এবং আমাদের তাতে ইমিউন সাড়াদান(প্রতিরোধ ব্যবস্থা) কেমন হবে, কিভাবে হবে তার উপর নির্ভর করছে সবকিছু৷
It is actually a great human crisis that is created by human. So don’t breakdown the dscipline or balance of nature. Because we are nothing to the natural power of nature, we are not omniscient. It will take revenge if you try to interfere destroying it’s natural principles.

Nature is now smiling asking us—Why are you being isolated!? Why are you being quarantined!? Come on hug me!!

পৃথিবীর বিষুবরেখায় চৈত্রের যে দাবদাহ শুরু হয়েছে একদিন প্রকৃতির আর এক সন্তান বৈশাখ তার রুদ্ররুপ নিয়ে হাজির হবে কর্কটক্রান্তি রেখায়। রুক্ষ, ধূসর, ধুলোর পৃথিবীতে তান্ডবলীলা শেষে উন্মাদিনী কালবৈশাখ তৃষ্ণার্ত মাটির বুকে নিয়ে আসবে সবুজের বার্তা। প্রলয় শেষে প্রকৃতি সতর্কতার ঝান্ডা উড়াবে আবার যেন ভুল না করি।

তাই আসুক কালবৈশাখী তার প্রলয় নাচন নিয়ে–

‘মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা
অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা’

অশুভের বিদায়ে শুভ হোক নববর্ষ ১৪২৭

Leave a Reply