কালের পুতুল বুদ্ধদেব বসুর সমালোচনাসাহিত্য। বাংলা সাহিত্যের পঞ্চ পাণ্ডব নামে খ্যাত- যারা ত্রিশের দশকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মত মহীরুহের বলয়ের বাইরে গিয়ে বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে একটি নতুন ধারার সৃষ্টি করেন। ‘তিরিশের কবি’ হিসেবে যারা পরিচিত। এদের মধ্যে বুদ্ধদেব বসু(১৯০৮-১৯৭৪) বা ঢাকার বুধু বোস নিজেকে একজন বহুমুখী প্রতিভাধর আধুনিক কবি ও সাহিত্য সমালোচক হিসেবে মেলে ধরেন। বাংলা সাহিত্যে আধুনিকতার সূত্রপাতে যিনি অসামান্য ভূমিকা পালন করেছেন। ১৯৪৬ সালে প্রথম প্রকাশিত ‘কালের পুতুল’ গ্রন্থটি বুদ্ধদেব বসু প্রণীত একটি সমালোচনাসাহিত্য। এ গ্রন্থে তার সমকালীন কয়েকজন বাঙালি কবির রচনা নিয়ে আলোচনা করেছেন। যেখানে লেখকের উৎসাহ, অনুরাগ ও শ্রদ্ধা প্রকাশ পেয়েছে সমালোচনাসাহিত্য হিসেবে। এতে প্রমথ চৌধুরী, দীনেশরঞ্জন দাশ, জীবনানন্দ দাশ, সমর সেন, সুধীন্দ্রনাথ দত্ত, বিষ্ণু দে, সুভাষ মুখোপাধ্যায়, অমিয় চক্রবর্তী, নিশিকান্ত, অন্নদাশঙ্কর রায়, ফাল্গুনী রায়, সুকুমার সরকার, কাজী নজরুল ইসলাম, যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত প্রমুখের সাহিত্যকর্ম নিয়ে আলোচনা স্থান পেয়েছে। সমালোচনা কিভাবে একটি সাহিত্য হয়ে উঠতে পারে তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত লেখক গ্রন্থটিতে তুলে ধরেছেন ।
বইয়ের প্রথম প্রবন্ধ ‘লেখার ইস্কুলে’ তিনি বলছেন, ‘লেখককে পেশাদার হ’তেই হবে। এমনকি বাঙালি লেখককেও’ (পৃষ্ঠা ৮)। একজন ভাল লেখক হওয়ার উপায় বাতলে দিয়ে তিনি বলছেন, ‘আমি ঠিক কোন কাজের উপযুক্ত, জীবনের প্রথমেই এটা বুঝে নিয়ে সে-উদ্দেশ্যে সময় ও শক্তি যিনি নিয়োগ করেন, তিনিই বুদ্ধিমান’ (পৃষ্ঠা ১২)। তিনি লিখতে শেখার একমাত্র উপায় হিসেবে ‘পড়া’ কে ব্রত হিবেবে গ্রহণ করতে বলছেন। শুধুমাত্র প্রাতিষ্ঠানিক কোন লেখার ইস্কুল খুলে যে লেখক তৈরি করা যায় না বরং জীবনকে কে কত ব্যাপক ও গভীরভাবে দেখতে পেরেছেন এবং তার কতটা সত্যরুপে তুলে ধরেছেন সেটিই একজন লেখকের আপেক্ষিক মূল্যের মানদণ্ড হিসেবে বিবেচিত হয়।
প্রমথ চৌধুরীর জয়ন্তী-উৎসব উপলক্ষ্যে লিখেছেন ‘প্রমথ চৌধুরী ও বাংলা গদ্য’। বাংলা সাহিত্যের আকাশে ‘সবুজ পত্রে’র পতাকা উড়িয়ে রবীন্দ্রনাথের উপর প্রত্যক্ষভাবে প্রভাব বিস্তার করে চলিতভাষার প্রতিষ্ঠা করলেন। প্রমথ চৌধুরীর জনপ্রিয় না হওয়ার কারণ হিসেবে লেখক শরৎচন্দ্র সাহিত্যের অতি প্রভাবের কথা বলছেন। তিনি ‘দেবদাস’ কে বলছেন শিশুসেব্য যা পড়ে এক মুহর্তে একটু থেমে যেতে হয়। প্রমথ চৌধুরীর লোকপ্রিয়তার অন্তরায় হিসেবে বলছেন, ‘মন তাঁর ব্রাহ্মণের, ধর্ম তাঁর অনাসক্ত, কণ্ঠ তাঁর ধীরমধুর’ (পৃষ্ঠা ২০)। তবে ভবিষ্যতের বাঙালি লেখকদের প্রধান শিক্ষক হিসেবে তিনি আবির্ভূত হবেন এই আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
কল্লোল যুগ হিসেবে বাংলা সাহিত্যে ‘কল্লোল’ পত্রিকার যে অসামান্য ভূমিকা এবং দীনেশরঞ্জন দাশ তার পেছনের কারিগর হয়ে বাংলা সাহিত্যকে একটি নতুন ধারার পথ দেখিয়েছেন তাঁর স্মরণে লিখেছেন ‘কল্লোল ও দীনেশরঞ্জন দাশ’। কল্লোলের প্রধান লেখকদের মধ্যে ছিলেন কাজী নজরুল ইসলাম, বুদ্ধদেব বসু, প্রেমেন্দ্র মিত্র সহ আরও অনেকে। বিশ শতকের তৃতীয় দশকে বাংলাদেশের যে কজন যুবক লেখক খ্যাতি লাভ করেছেন তাঁদের প্রথম ও প্রধান অবলম্বন ছিল কল্লোল।
জীবনানন্দ দাশকে নিয়ে লেখক তিনটি প্রবন্ধে একটি দীর্ঘ আলোচনা করেছেন। একজন নির্জনতম কবি যিনি প্রকৃত অর্থেই প্রকৃতির কবি। উপমাই যার কবিত্ব। রবীন্দ্রনাথ যার সৃষ্টিকে বলেছেন- ‘চিত্ররুপময়’। যিনি একটি ইন্দ্রিয়ের আঘাতে আর একটি ইন্দ্রিয়কে জাগ্রত করে তোলেন। উদাহরণস্বরূপ-
“নির্জন মাছের চোখে;—পুকুরের পারে হাঁস সন্ধ্যার আঁধারে
পেয়েছে ঘুমের ঘ্রাণ—মেয়লি হাতের স্পর্শ ল’য়ে গেছে তারে”।
——মৃত্যুর আগে
দৃষ্টি, স্পর্শ ও গন্ধের কি অপূর্ব সন্নিবেশ। লেখক বলছেন, ‘তাঁর কাব্য বর্ণনাবহুল, তাঁর বর্ণনা চিত্রবহুল, এবং তাঁর চিত্র বর্ণবহুল'(পৃষ্ঠা ৩৬)। সংস্কৃত ভাষাকে একপাশে রেখে জীবনানন্দ তাঁর কাব্যে বাংলা ভাষাকে খাঁটি বাংলা করে তোলার চেষ্টা করেছেন। লেখক জীবনানন্দ সম্পর্কে দক্ষ জহুরির চোখ নিয়ে আলোচনা করেছেন। প্রবন্ধগুলো পড়লে কবিতা সম্পর্কে অনাগ্রহী ব্যক্তিটিও আমাদের ইন্দ্রিয়নির্ভর, প্রকৃতির কবি জীবনানন্দ দাশ সম্পর্কে আরও জানতে ও পড়তে আগ্রহী হবেন।
‘সমর সেন: কয়েকটি কবিতা’ প্রবন্ধে প্রশংসা করে বলেছেন উনারা যে রবীন্দ্রনাথের প্রভাব থেকে মুক্ত হওয়ার কথা বলেন সেদিক থেকে সমর সেনের রচনা গদ্য-ছন্দে লিখিত যা বাংলা ভাষায় অভিনব। নাগরিক জীবনের দৃশ্যপট তার কবিতায় চমৎকারভাবে অঙ্কিত হয়েছে। যেমন-
“মহানগরীতে এলো বিবর্ণ দিন, তারপর আলকাৎরার মতো রাত্রি”। ——নাগরিক
‘সুধীন্দ্রনাথ দত্ত’কে নিয়ে তিনটি প্রবন্ধে লেখক আলোচনা করেছেন। একজন শাস্ত্রকবি হিসেবে ছন্দের নিপুণ ঝংকার লেখককে আকৃষ্ট করেছে। কিন্তু একজন সাধারণ কাব্য পাঠক হিসেবে সুধীন্দ্রনাথের কবিতাকে জটিল ও দুর্বোধ্য মনে হতে পারে নানা অপ্রচলিত সংস্কৃত ও পারিভাষিক শব্দ ব্যবহারের কারনে। লেখকে বিষ্ণু দে ও সুধীন্দ্রনাথের মধ্যে তুলনামূলক আলোচনা করেছেন বুঝার সুবিধার্থে। বাংলা কবিতার নতুন পরিণতির ক্ষেত্রে লেখক তাঁকে একজন প্রধান কর্মী হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন।
“বিষ্ণু দে : ‘চোরাবালি’’ লেখাটি একটি চিঠির মতো। মনে হয় বুদ্ধদেব বসু কবিকে উদ্দেশ্য করে চিঠি লিখেছেন। শুরুতেই বলা হয়েছে, বিষ্ণু দের সঙ্গে এবং তার লেখার সঙ্গে বুদ্ধদেব বসুর পরিচয় দশ বছরের। এক পর্যায়ে তিনি বলছেন, ‘আপনার কবি প্রতিভায় আমি আস্থাবান; এ-দেশে কবিতা যাঁরা ভালোবাসেন, লেখেন ও লিখতে চেষ্টা করেন, তাঁদের প্রত্যেকেরই আপনার রচনা খুব মনোযোগপূর্বক পড়া উচিত সে বিষয়ে আমার সন্দেহ নেই; আর সেইজন্য যেখানেই আমার মনে হয়েছে আপনি যে স্বেচ্ছায় আপনার কবিতার আবেদন খর্ব করেছেন, সেখানেই আমার মন প্রতিবাদ করেছে।’ (পৃষ্ঠা ৭৮)
সুভাষ মুখোপাধ্যায় সম্পর্কে লেখকের বক্তব্য, ‘সুভাষ মুখোপাধ্যায় দুটি কারণে উল্লেখযোগ্য : প্রথমত, তিনি বোধ হয় প্রথম বাঙালি কবি যিনি প্রেমের কবিতা লিখে কাব্যজীবন আরম্ভ করলেন না। এমনকি, প্রকৃতিবিষয়ক কবিতাও তিনি লিখলেন না; কোনও অস্পষ্ট মধুর সৌরভ তাঁর রচনায় নেই, যা সমর সেনেরও প্রথম কবিতাগুলোতে লক্ষণীয় ছিল। দ্বিতীয়ত, কলাকৌশলে তাঁর দখল এতই অসামান্য যে কাব্যরচনায় তাঁর চেয়ে ঢের বেশি অভিজ্ঞ ব্যক্তিদেরও এই ক্ষুদ্র বইখানায় শিক্ষণীয় বস্তু আছে বলে মনে করি।’
অমিয় চক্রবর্তীকে নিয়ে তিনটি প্রবন্ধ স্থান পেয়েছে কালের পুতুলে। তিনি মনে করেন, ‘অমিয় চক্রবর্তীর মন পুরোপুরি আধুনিক ছাঁচে ঢালাই করা। তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি বহির্মুখী।’ তিনি আবার বলেছেন, ‘অমিয় চক্রবর্তীর আর একটি বৈশিষ্ট্য এই যে বাঙালি কবিদের মধ্যে তিনি প্রকৃতই সর্বদেশীয়। নতুন বিচিত্র ভূগোলের অভাবিত রস পরিবেশন করেছেন তিনি।’ তৃতীয় প্রবন্ধে অমিয় চক্রবর্তী সম্পর্কে লেখকের অভিমত এমন—‘সমকালীন বাংলাদেশের সবচেয়ে আধ্যাত্মিক কবি অমিয় চক্রবর্তী।’
নিশিকান্ত সম্পর্কে লেখক বলেছেন, ‘প্রথমেই বলে রাখি যে নিশিকান্ত’র কবিতার আমি অনুরক্ত। তাঁর ‘পণ্ডিচেরির ঈশান কোণের প্রান্তর’ (‘কবিতা’য় প্রকাশিত) বাংলা গদ্যকবিতার মধ্যে একটি প্রধান রচনা বলে আমি মনে করি।’ (পৃষ্ঠা ১০৯) প্রাবন্ধিক বুদ্ধদেব বসু তার লেখায় অন্নদাশঙ্কর রায় সম্পর্কে বলেছেন, ‘শ্রীযুক্ত অন্নদাশঙ্কর রায় ভবিষ্যতের কিংবা অদৃষ্টের ওপর ভরসা রাখেননি, তিনি প্রাক-চল্লিশেই নিজের কাব্যসংগ্রহ প্রকাশ করেছেন। আধুনিক কবিদের মধ্যে এ ধরনের উদ্যম তাঁরই প্রথম।’ (পৃষ্ঠা ১১৩)
শেষের দিকে তিনি দু’জন তরুণ মৃত কবিকে নিয়ে প্রবন্ধ লিখেছেন। তারা হলেন—ফাল্গুনী রায় ও সুকুমার সরকার। ফাল্গুনী রায়কে নিয়ে লেখা নাতিদীর্ঘ এ প্রবন্ধ মাত্র বারোটি কবিতা পড়ে তিনি লিখেছেন। তার ভাষায়, ‘এই বারোটির যে-কোনও একটি কবিতা পড়লেই বোঝা যাবে যে ফাল্গুনী যথার্থ বাকপ্রেমিক। তাতে প্রমাণ হয় যে তিনি জাত-কবি।’ (পৃষ্ঠা ১২০) হাঁড়ির একটি ভাত টিপলেই যেমন সব ভাতের অবস্থা বোঝা যায়; তেমনই তিনি মাত্র কয়েকটি কবিতা পড়েই ফাল্গুনীকে ‘জাত কবি’ আখ্যা দিলেন। অপরদিকে সুকুমার সরকার মাত্র পাঁচ-ছয় বছর কবিতা লিখেছিলেন। তাতেই শুধু সাময়িকপত্রেই তাঁর শতাধিক কবিতা প্রকাশিত হয়েছিল। হয়তো অপ্রকাশিত লেখা ছিল তারও বেশি।
‘নজরুল ইসলাম’ প্রবন্ধে লেখক উল্লেখ করেছেন ‘বিদ্রোহী’ পড়ে পরিচয় ঘটে ঝাঁকড়া চুলের জাত-বোহিমিয়ান কবির সঙ্গে। প্রবন্ধটি পাঠ করলে মনে হবে এক জীবন্ত, প্রাণবন্ত নজরুলকে চোখের সামনে দেখছি। যিনি যেকোন আড্ডার মধ্যমণি, চারিদিক মাতিয়ে তুলছেন হাসি, গান আর গজলে ঘন্টার পর ঘন্টা। তিনি গাইতে গাইতে লিখছেন আবার লিখতে লিখতে গাইছেন। নজরুলের লোকপ্রিয়তার কথা বলতে গিয়ে লেখক বলছেন, ‘তাঁর কাব্যে হৈ-চৈ অত্যন্ত বেশি'(পৃষ্ঠা ১২৮)। “অদম্য স্বতঃস্ফূর্ততা নজরুলের প্রধান গুণ— এবং প্রধান দোষ “। নজরুলের কবিতা সম্পর্কে বুদ্ধদেবের একটি প্রগলভ উক্তি—’একটি দুটি স্নিগ্ধ কোমল কবিতা ছাড়া প্রায় সবই ভাবালুতায় আবিল’। অন্যদিকে বিশিষ্ট গবেষক, প্রাবন্ধিক সৈয়দ আবুল মকসুদ ‘ঢাকার বুদ্ধদেব বসু’তে বলছেন, তিনি সম্পূর্ণভাবে গতানুগতিক ও প্রথাগত, অর্থাৎ নতুনত্বহীন’। কোলকাতা বিশ্বিবদ্যালয়ের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর অধ্যাপক হরপ্রসাদ মিত্র বলেন- তিনি রবীন্দ্রনাথকে অতিক্রম করে দ্বিতীয় রবীন্দ্রনাথ হতে চেয়েছিলেন।
বইয়ের নাম প্রবন্ধ ‘কালের পুতুল’ – এ লেখক বলছেন সাহিত্যাকাশে আজকে যিনি উজ্জ্বল কালকে তিনি নিস্প্রভ হয়ে যেতে পারেন কালের উত্থান-পতনে। এখানে সবই আপেক্ষিক, সবই আনুমানিক, সবই মোটামুটির কথা। সমালোচনার শেষ বলে কোন কথা আশা করা বোকামি। আমাদের সাহিত্যরচনা ও সাহিত্যনিচারের প্রচেষ্টা নিয়ে কাল যে-বিচিত্র নৃত্যের আয়োজন করে তার মতো নিশ্চিত, তার মতো অনিশ্চিত আর-কিছু নয়। সেজন্য লেখক বইয়ের নাম দিয়েছেন ‘কালের পুতুল’। একজন ভাল সমালোচকের পক্ষে সর্বপ্রথম প্রয়োজন ভাষাশিল্পী হওয়া। তাহলে তিনি সমালোচনাকেই সাহিত্য করে তুলতে পারবেন যা সাহিত্যের ভালো-মন্দ বাছাই করে ভালোর পরিমাণ বৃদ্ধি করবে।
পরিশেষে বলতে হয়, বুদ্ধদেব বসু সমালোচনাকে সাহিত্যাকারে ‘কালের পুতুল’ প্রবন্ধে তাঁর সমকালীন কয়েকজন বাঙালি কবির রচনা নিয়ে আলোচনা করে বাংলা সাহিত্যের ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করেছেন। নিজের চিত্তকে উন্মীলন করে অনাগ্রহী, উদাসীন পাঠকের মনকে জাগ্রত করেছেন। নিজের অন্তরেই অনুসন্ধান করতে বলেছেন না লিখতে পারার কারণকে। তিরিশের দশকে বাংলা সাহিত্যে আধুনিকতার যে সূত্রপাত হয়েছিল, বুদ্ধদেব বসু নিঃসন্দেহে সেই সাহিত্যের রাজপুত্র।
পুস্তক পর্যালোচনায়: উৎপল কুমার